ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি শেষে অফিস-আদালত চালু হওয়ার পরদিনই ফের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়। সরকারি চাকরির (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী। বেলা ১১টার পর ৬ নম্বর ভবনের সামনে কর্মচারীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এবার কর্মচারীদের সঙ্গে মাঠে নামছেন প্রশাসন ক্যাডারসহ নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
সচিবালয় সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠন করা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতৃত্বে এই আন্দোলন হচ্ছে। বিক্ষোভ সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির ও মো. নুরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে চার দফা দাবি আদায়ে একই সময়ে জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
দাবিগুলো হলো-ফ্যাসিবাদের দোসর আমলাদের অপসারণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মে নিয়োজিত বিতর্কিত কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল, পদোন্নতি ও পদায়নসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি বাতিল এবং নিবর্তনমূলক ও কালো আইন বাতিল। এই ফোরাম ঈদুল আজহার ঠিক আগের দিনও একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনটি প্রতিদিন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনা ও কর্মচারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে ৪ জুন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এই কমিটি এখনো কোনো বৈঠক করতে পারেনি।
