৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে একই ক্যাডারে পাঁচ শতাধিক প্রার্থীকে দুইবার সুপারিশ (রিপিট ক্যাডার) করা হয়েছে। ফলে নতুন কেউ সুযোগ না পাওয়ায় পদগুলো শূন্য থেকে গেছে। অনেকে মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলেও ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি। আবার একই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তরাও ভালো অবস্থানে যেতে না পারায় হতাশ হয়েছেন।
এবার রিপিট ক্যাডার বা একই ক্যাডারে দুইবার সুপারিশ ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪৫তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার আগে প্রার্থীদের পুনরায় চয়েজ ফর্ম পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
এর ফলে আগেই যেসব প্রার্থী একটি ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন, তারা চাইলে অন্য ক্যাডারে পছন্দ দিতে পারবেন। এতে রিপিট ক্যাডারের সংখ্যা কমে যাবে এবং নতুনদের জন্য সুযোগ তৈরি হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার প্রার্থীদের জানানো যাচ্ছে যে, মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে একটি ‘ক্যাডার পছন্দক্রম পরিবর্তন ফর্ম’ পূরণ করে জমা দিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শুরুর আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে ওই ফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং প্রার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে ফর্মটি পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রার্থী আবেদনের সময় যে পছন্দক্রম দিয়েছিলেন, তা বহাল রাখতে পারবেন কিংবা চাইলে পরিবর্তন করতে পারবেন।
এর আগে, ৩০ জুন প্রকাশিত ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে ১,৬৯০ জনকে ক্যাডারে সুপারিশ করে পিএসসি। কিন্তু দেখা যায়, এদের মধ্যে ৫০০-এর বেশি প্রার্থী আগের (৪১ বা ৪৩তম) বিসিএসে একই ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত। ফলে তারা ৪৪তম বিসিএসের গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহার করবেন।
এতে ৪৪তম বিসিএসে প্রায় পাঁচশো পদ শূন্য থেকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। অনেক প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেন, যারা ভাইভা পাস করেও সুপারিশ পাননি।
এই পরিস্থিতি ঠেকাতেই পিএসসি ৪৫তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার আগে পুনরায় পছন্দক্রম (চয়েজ ফর্ম) পরিবর্তনের সুযোগ চালু করছে। আশা করা হচ্ছে, এতে ভবিষ্যতে এমন “রিপিট ক্যাডার” সমস্যার পুনরাবৃত্তি হবে না।
এই বিসষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, একটি বিসিএস শেষ করতে সাড়ে তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়। এতে পরপর দুই বা তিনটি বিসিএসে একই রকম ক্যাডার পছন্দক্রম বা চয়েজ দেন প্রার্থীরা। ফলে তারা পরবর্তীতে একই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। যদি ভাইভার আগে একবার চয়েজ ফর্ম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে এ সমস্যায় আর পড়তে হবে।
