ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফিরে দেখা: ১০ জুলাই ২০২৪

বাংলা ব্লকেডে স্থবির দেশ

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৮ এএম

২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নাম জুলাই মাস। এ মাসের প্রতিটি দিনই বিশেষভাবে স্মরণীয়। একেক দিন একেকভাবে কোটা বিরোধী আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। যার শেষ পরিণতিতে বিদায় হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের।

৯ জুলাই হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থী। যদিও দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিন আন্দোলনের অংশ হিসেবে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা চার ঘণ্টা অবরোধ চালিয়ে তা তুলে নেয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

ছবি: সংগৃহীত

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ১০ জুলাই সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেডের’ ডাক দেন। এ কর্মসূচি ঘোষণা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে এ আন্দোলনে নামেনি। কোটা ইস্যুতে সরকার নিশ্চুপ থাকার কারণে এ ধরনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে আন্দোলনকারীরা।’

তৎকালীন সরকারের আইনমন্ত্রী জানান, ঘটনা ঘটছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে এটার নিরসন হবে না। সে সময়ের অ্যাটর্নি জেনারেলও আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দেয়ার চেষ্টা করেন। বাংলা ব্লকেড সফল করতে অফলাইন ও অনলাইনে প্রচারণা চালান শিক্ষার্থীরা। বিতরণ করা হয় লিফলেট।

ছবি: সংগৃহীত

১০ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ‘বাংলা ব্লকেড’-এর কারণে রাজধানী ঢাকা সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অচল হয়ে পড়ে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এদিন রাজধানীর পল্টন, জিরো পয়েন্ট মোড়, মহাখালী রেললাইনসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্ট অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

ছবি সংগৃহীত।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ এলাকা,চট্টগ্রাম শহরের টাইগারপাস-দেওয়ানহাট রেললাইন অবরোধসহ সারা দেশের সব জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

RF/AHA
আরও পড়ুন