সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

শারদীয় দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সারাদেশের প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

উপদেষ্টা আরও জানান, ঢাকায় প্রতিমা বিসর্জন লাইন ধরে ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে, তারও নিয়ম থাকবে। এ ছাড়া পূজা উপলক্ষে আশপাশে মদ-গাঁজার আসর বসতে দেওয়া হবে না।

পূজাকে ঘিরে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা

চলতি মাসের শেষে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। উৎসব ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যেকোনো নাশকতা রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে। মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা বাস্তবায়নের জন্য বলা হবে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

  • পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার-ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো।
  • অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
  • পূজামণ্ডপগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত পরিদর্শন।
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা থেকে সতর্কতা।
  • পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োগ।
  • প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও নিজস্ব নিরাপত্তা টিম নিয়োগ।
  • স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে সম্পৃক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন।
  • প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা।
  • পূজামণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের সন্দেহজনক জিনিস বহন ঠেকাতে কঠোর নজরদারি।
  • নারী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও ইভটিজিং রোধে ব্যবস্থা।
  • পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ।
  • প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা।
  • যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা অনুপযোগী, সেগুলো সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘গতবার শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়েছিল। এবারও আরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা আয়োজন কমিটি কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে উৎসবটি সুন্দরভাবে শেষ হবে।’

NB/AHA