বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বিগত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছে খালেদা জিয়ার। পাশাপাশি তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। তিনি প্রতিদিনই হাসপাতালে যাওয়া-আসা করে শাশুড়ির চিকিৎসার তদারকি করছেন।
বিএনপির চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, আগের মতোই অপরিবর্তিত আছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা। নিয়মিত তার কিডনি ডায়ালাইসিস চলছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, লিভারসহ অন্য সমস্যাগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন চিকিৎসক বলেন, ‘বলার মতো তেমন কোনো উন্নতি নেই ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার। আগের মতোই আছেন তিনি, চিকিৎসা চলছে। দোয়া করেন, আল্লাহ যেন উনাকে সুস্থ করে দেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা ফ্লাই করার মতো উপযুক্ত নয় বলে তাকে ‘আপাতত’ তাকে লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। দেশে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে পরে নতুন করে তাকে লন্ডনে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে।
একজন চিকিৎসক বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা লন্ডন নেওয়ার মতো নেই। যার কারণে ৩ দফায় উনার লন্ডন নেওয়ার তারিখ পেছানো হয়েছে। আর এখন বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে আসতে হয়েছে মেডিকেল বোর্ডকে।’
বিএনপি নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার বিষয়টি নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তার চিকিৎসকদল।
