বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ‘গণতন্ত্রের মা’ হিসেবে পরিচিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা ও উন্নত চিকিৎসার সীমাবদ্ধতার সাথে লড়াই করে আজ সকালে কিংবদন্তিতুল্য এই নেত্রীর জীবনাবসান ঘটে। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিএনপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। এক শোকবার্তায় দলটির পক্ষ থেকে তাকে ‘সাহস ও সংগ্রামের প্রতীক’ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীন নেত্রী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে দেশবাসী, নেতাকর্মী ও সকল পেশাজীবী সংগঠনের কাছে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চাওয়া হয়েছে।
৭ দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা
দেশনেত্রীর মৃত্যুতে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ৭ দিনব্যাপী শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো:
১. মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ২০২৫ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোকের সাথে সংহতি রেখে ৩ দিন এবং দলীয়ভাবে মোট ৭ দিন সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

২. শোকের চিহ্ন হিসেবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের সকল দলীয় কার্যালয়ে ৭ দিন কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
৩. বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এই ৭ দিন শোকের প্রতীক হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
৪. প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে দেশনেত্রীর আত্মার শান্তির জন্য টানা ৭ দিন কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
৫. রাজধানীর গুলশানস্থ চেয়ারপারসনের কার্যালয়, নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং জেলা পর্যায়ের সকল কার্যালয়ে শোকবই খোলা হবে, যেখানে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা তাদের শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা ও দাফনের সময়সূচি পরে জানানো হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার সাধারণ ছুটি, ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
বুধবার বাদ জোহর খালেদা জিয়ার জানাজা