বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করে বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’ খবর: বাসস‘র।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সংস্কারের পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ কালবিলম্ব না করে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সময়মতো নির্বাচন দেয়া। তবেই জনগণ তাদের স্যালুট জানাবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোটের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১২ দলীয় জোটের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
তিনি বলেন, জনগণ অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ অদৃশ্য শক্তিকে দৃশ্যমান করা জরুরি। একজন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করে এক কাপড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তারাও আগামী দিনে পালানোর পথ পাবেন না।
সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ র্শীর্ষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ৩১ দফা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদি আমিন।
সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে নির্বাচন প্রয়োজন: তারেক রহমানধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঘটনা উল্লেখ গয়েশ্বর রায় বলেন, ৬-৮ আগস্ট যদি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর করে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করত কেউ কিছু বলত না। ৬ মাস পরে আমাদের এই চেতনা বোধ এলো কেন? আমরা যদি ব্যাক ট্রেডিশন তৈরি করি, তাহলে আগামীদিন আপনার, আমার বাড়ি ভাঙচুর হবে। ভাঙচুরের নামে বাজে ট্রেডিশন চললে সংস্কার করে কি লাভ?-প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ।
