খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে (ওএইচসিএইচআর) আন্তরিক মুবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন, এরই স্বীকৃতি পাওয়া গেল বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘সত্য’ উদ্ঘাতিত হওয়ায় আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই যে গত জুলাই-আগস্টে সব হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে তা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হলো। এতে গোটা জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎস ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তূপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মজলুমের পক্ষে নয়, বরং মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
