ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

‘ড. ইউনূসের কণ্ঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি’

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘কণ্ঠ শুনছি’।

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বক্তব্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গণতান্ত্রিক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের স্বপ্নের প্রতিধ্বনি।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের উপস্থিতিতে মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত পরশু, ইউএস-বাংলাদেশ একটা বিজনেস ফোরামের সভা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের সম্মানিত, সবার সম্মানিত, বিশ্বের সম্মানিত প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার করে মনে হচ্ছিল, যে আমি এ দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি।

তিনি আরও যোগ করেন, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের—তার সমস্ত কথাগুলো প্রফেসর ইউনূসের কথায় বেরিয়ে আসছিল।

দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে সবচেয়ে মুরুব্বি বলে পরিচিত করে দেওয়া হলো, আমি নিজে কিন্তু এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন) সঙ্গী মনে করি। কারণ, আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি এবং এখনো লড়াই করেই চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম-লড়াই মজ্জাগত ব্যাপার। যেকোনো বিপদে, যেকোনো দুঃসময়ে সবাই এক হয়ে লড়াই করতে জানে, তার প্রমাণ দিয়েছে জুলাই।

তিনি জুলাই আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু প্রতিবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। যেদিন থেকে একটা দুঃসহ, একটা দানবীয় শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের উপরে চেপে বসেছে, সেদিন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ লড়াই শুরু করেছে। আমি এখানে তো পার্টিকুলার কোনো পলিটিক্যাল পার্টির কথা বলছি না। প্রত্যেকটি মানুষ এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। যেমন করেছে আপনার সেই তেঁতুলিয়ার গ্রামের মানুষ, ঠিক তেমনি আপনারা এইখানে এই প্রবাসে থেকেও লড়াই করে যাচ্ছেন। যেকোনো বিপদে, যেকোনো সংকটকালে তারা জানে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়। জুলাই মাস তা প্রমাণ করেছে।

তরুণদের ওপর নিজের আস্থার কথা তুলে ধরে এই নেতা বলেন, একটা কথা খুব স্পষ্ট করে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে, আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছি, আমরা অনেকগুলো লড়াই লড়েছি। আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ‘স্বপ্ন’ দেখতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমি শুধু আপনাদেরকে এই কথা বলতে চাই যে আমরা আধুনিক চিন্তা করি। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন, আমাদের সামনের ছেলেরা, আমাদের মেয়েরা; তারা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আধুনিক চিন্তা করে। সেটাকে ধারণ করার মতো মানসিকতা আমাদের আছে এবং সেটাকে প্রমোট করার মতো সংগঠন আমাদের করতে হবে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্ক সফরে রয়েছেন ছয়জন রাজনৈতিক নেতা। এই প্রতিনিধিদলে মির্জা ফখরুল ছাড়াও রয়েছেন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জামায়াত নেতা ড. মোহাম্মদ নকিবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।

MMS
আরও পড়ুন