আজান শোনা ও আজানের জবাব দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো মুয়াজ্জিন যা বলে তা বলা, শুধু ‘হাইয়া আলাস সালাহ, হাই য়ালাস ফালাহ’ বললে এর জবাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ পড়তে হয়। আজানের পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ করা হয়, দোয়া কবুল করা হয়, কেয়ামতের দিন শাফায়াত পাওয়া যায় এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।
হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে নাসাঈ)
অনেকেই মনে করেন আজানের জবাব দেওয়া শুধু পুরুষদের জন্য ফজিলতপূর্ণ এবং এটি নারীদের জন্য নয়। এ ধারণা
ভুল। নারীদের জন্যও আজানের মৌখিক উত্তর দেওয়া একইরকম মুস্তাহাব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। এখন প্রশ্ন থাকে পিরিয়ড চলাকালীন নারীরা আজানের জবাব দিতে পারবেন কিনা।
মূলত মাসিক চলাকালীন সময়ও নারীরা আজানের জবাব দিতে পারেন। কারণ আজানের জবাব দেওয়ার জন্য পবিত্র অবস্থায় থাকা জরুরি নয়। মাসিক অবস্থায় নারীদের জন্য কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ হলেও দোয়া ও জিকির করা বৈধ। আজানের কালিমাগুলো উচ্চারণ করাও বৈধ।
পিরিয়ড হলে শবে কদরে ইবাদত করবেন যেভাবে