ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

তাকবিরে তাশরিক, অর্থ ও উচ্চারণসহ

আপডেট : ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৭ পিএম

জিলহজ মাসের এ পাঁচ দিন তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। এছাড়াও প্রথম দশক জুড়ে বেশি বেশি তাকবির তাহলিল পড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকে তোমরা বেশি বেশি তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বলবে।’ (মুসনাদে আহমাদ)

তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদের এগুচ্ছ মালাকে তাকবিরে তাশরিক বলা হয়। মহান আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব, প্রশংসা ও একত্ববাদের স্বীকৃতিতে ভরপুর এ তাকবির। জিলহজ মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত এ ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এ তাকবির পড়া ওয়াজিব।

অর্থ ও উচ্চারণসহ তাকবিরে তাশরিক-
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু; ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’

প্র্যত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ, মুকিম-মুসাফির (স্থায়ী বাসিন্দা বা ভ্রমণকারী), গ্রামবাসী-শহরবাসী সবার জন্য একাকি কিংবা জামাআতে ফরজ নামাজ আদায়ের পর একবার তাকবিরে তাশরিক আদায় করা ওয়াজিব। তাই উল্লেখিত তারিখে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত সময়ে তাকবিরে তাশরিক পড়া জরুরি। হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জিলহজের প্রথম দশকে বেশি বেশি তাকবির-তাহলিল ও তাহমিদ পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্বনবি। সব সময় তাকবির তাহলিল ও তাহমিদ পড়া মোস্তাহাব আমল।

সুতরাং শুক্রবার ০৬ জুন ফজর নামাজ থেকে ১০ জুন মঙ্গলবার সরের নামাজ পর্যন্ত এ ৫ দিনে মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবিরে তাশরিক সবার জন্য ১ বার পড়া ওয়াজিব আর ৩ বার পড়া মুস্তাহাব।

MMS
আরও পড়ুন