ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম

তাহাজ্জুদ ফজিলতপূর্ণ নফল নামাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। গভীর রাতে বা রাতের শেষ প্রহরে এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজের মাধ্যমে সহজেই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হওয়া যায়। মহানবী (সা.) রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাহাজ্জুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। নবিজির (সা.) প্রতি এটা ছিল মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ-
‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)

মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামুল লাইলের (তাহাজ্জুদের) প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী।’ (তিরমিজি: ৩৫৪৯)

নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করবো। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করবো। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করবো।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)

হাদিসে বর্ণিত ফজিলতের বাইরেও আলেমরা বলেন, তাহাজ্জুদ নামাজের দুনিয়া ও পরকালের বিশেষ পাঁচটি উপকারিতা রয়েছে। তাহলো-
১. তাহাজ্জুদ নামাজ একজন মুসলিমকে গুনাহ মুক্ত করে।
২. তাহাজ্জুদ নামাজ কবরকে আলোকিত হতে সাহায্য করে।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ চেহারা উজ্জ্বল করে।
৪. তাহাজ্জুদ নামাজ অলসতা দূর করে।
৫. তাহাজ্জুদ নামাজ শরীর চাঙ্গা করে।

MMS
আরও পড়ুন