ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিক্রি হচ্ছে লর্ডসের ঘাস, কিনতে লাগবে যতো টাকা

আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম

হোম অব ক্রিকেট’ (Home Of Cricket) হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট মাঠের আউটফিল্ডের ঘাস বিক্রি হবে। লর্ডস ক্রিকেট মাঠের আউটফিল্ড থেকে ঘাসের ছোট ছোট স্ল্যাব বিক্রি করে তহবিল সংগ্রহ করা হবে ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য। মর্যাদাপূর্ণ এই স্টেডিয়ামটির একটি ছোট্ট অংশ যাতে লর্ডসের ভক্তরা এক টুকরো স্মৃতিকে নিজের করে নিতে পারেন  সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে মাঠ কর্তৃপক্ষ। এজন্য ১.২ মিটার বাই ০.৬ মিটার আকৃতির এক টুকরা ঘাসের জন্য খরচ করতে হবে ৫০ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ হাজার টাকার বেশি।

ম্যারিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এমসিসি ফাউন্ডেশনের তহবিল গড়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে মাঠ উন্নয়নের জন্য আমরা সদস্যদের লর্ডসের ঐতিহাসিক ঘাসের একটি টুকরো কেনার সুযোগ দিচ্ছি। এখানে অসংখ্য জাদুকর মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে এই ঘাস।

১.২ মিটার বাই ০.৬ মিটার মাপের প্রতিটি ঘাসের খণ্ডের মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ পাউন্ড। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ২৫ হাজার সদস্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ মানুষও কিনতে পারবেন মাঠের ঐ পবিত্র সবুজ ঘাস। বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের ১০ শতাংশ যাবে এমসিসি ফাউন্ডেশনে এবং বাকি অংশ ব্যবহার করা হবে লর্ডস মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নে।

আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হবে মাঠ খোঁড়ার কাজ, তবে পিচের স্কয়ার অংশটুকু অপরিবর্তিত থাকবে। প্রথমে উপরিভাগ থেকে ১৫ মিলিমিটার ঘাস কেটে ফেলা হবে, এরপর নতুন ঘাসের বীজ বপনের মাধ্যমে তৈরি হবে একেবারে নতুন মাঠ। এই সংস্কারের পেছনে মূল কারণ হলো, সাম্প্রতিক সময়ে ডাইভ দিলে ঘাস উঠে যাচ্ছিল। এমসিসির প্রধান কিউরেটর কার্ল ম্যাকডারমট জানিয়েছেন, তিনি অনেক আগেই এই ঘাস পরিবর্তনের চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ঠাসা সূচির কারণে কাজটা করা যাচ্ছিল না।

‘আমার আগের দায়িত্বে থাকা মিক হান্ট সবসময় একটি পিচ রাখতেন যেখানে তিন বছর পর্যন্ত খেলা না রেখে ঘাস বদলানো যেত। কিন্তু এখন সেই সুযোগ নেই। কারণ ‘দ্য হান্ড্রেড’, মেয়েদের ক্রিকেট সবই বেড়েছে, যা দুর্দান্ত, তবে ফাঁকা সময় আর পাওয়া যায় না,’ বলেন ম্যাকডারমট।

এর আগে, ২০০২ সালে ড্রেনেজ সুবিধা বাড়াতে লর্ডসের আউটফিল্ডে ঘাস পাল্টানো হয়েছিল। তখনও ঘাস বিক্রি করা হয়, প্রতিটি স্ল্যাব ১০ পাউন্ড দরে বিক্রি করে ৩৫ হাজার পাউন্ড আয় করেছিল কর্তৃপক্ষ। এক ব্যক্তি তো পুরো লন ঢেকে ফেলেছিলেন লর্ডসের ঘাস দিয়ে, যার খরচ পড়েছিল ১,২৬০ পাউন্ড!

২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে লর্ডস মাঠে তীরন্দাজির ইভেন্ট হওয়ার পর কিছু সদস্য অভিযোগ করেন, মাঠ নাকি দেখতে ‘প্যাচওয়ার্ক কুইল্ট’-এর মতো! তখন নতুন করে ঘাস পাল্টানোর দাবি ওঠে। যদিও তখন আইসিসির ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর অনুমোদনের পর মাঠের অবস্থায় কোনো সমস্যা দেখেনি এমসিসি।

HM
আরও পড়ুন