সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৩-৪ দিন ধরে দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশ করলেও খুচরা বাজারে এর সুফল মিলছে না। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখনো প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামে খুব একটা প্রভাব পড়েনি।
খুচরা বাজারে দেশি পুরানো পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেও পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
ডিসেম্বরের শুরুতে হুট করে পেঁয়াজের দাম ১৬০ টাকায় উঠে গেলে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখনো ১ লাখ টন পুরানো পেঁয়াজ মজুদ আছে এবং নতুন পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার আমদানি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করেনি। মুগদা ও কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় আড়তদাররা দাম কমাচ্ছেন না। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) সীমিত করায় বাজারে কাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে না।
ভোক্তাদের প্রত্যাশা ছিল ভারতীয় পেঁয়াজ এলে দাম কমে আসবে, কিন্তু সরবরাহের ঘাটতি ও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পেঁয়াজের বাজার এখনো চড়া।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে এলো ৪১৯ টন পেঁয়াজ