ঢাকা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এশিয়ায় স্পট এলএনজির দাম নিম্নমুখী

আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম

স্পট মার্কেটে অব্যাহতভাবে কমছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম। রপ্তানি প্রধান দেশগুলো থেকে সরবরাহ বাড়ার কারণই বাজারদর নিম্নমুখী করেছে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।

ইউরোপ ও এশিয়ার মতো আমদানি প্রধান দেশগুলোয় শীতকালে চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক কম। স্পট মার্কেটে তাই কমতির দিকে এলএনজির দাম। আবার বাজারদরে নিম্নমুখী প্রবণতার সুযোগ নিতে এশিয়ার দেশগুলো জ্বালানির আমদানি বাড়াচ্ছে।

তথ্য বলছে, ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে উত্তর এশিয়ায় সরবরাহকিৃত প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ ডলার ৬০ সেন্টে। আগের সপ্তাহে মূল্য ছিল ৯ ডলার ৫০ সেন্ট, যা সাত সপ্তাহের সর্বনিম্ন। বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা বাড়লেও সার্বিকভাবে তা নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে।

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তি থাকায় এসময় সাধারণত স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যায়। বাকি সময় দুর্বল চাহিদার বিপরীতে দামও কমে যায়। বিশেষ করে শীত মৌসুমে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারে এলএনজির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হওয়ার প্রত্যাশা করা হলেও এবার তেমনটি ঘটেনি।

পণ্যবাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলারের দেয়া তথ্যমতে, প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এশিয়ার বাজারে এলএনজি আমদানিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও জ্বালানিটির দাম কমতির দিকে। এ অঞ্চলের দেশগুলো গত বছরের ডিসেম্বরে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছে। যা ছিলো রেকর্ড পরিমাণ। 

এদিকে চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে এশিয়ার দেশগুলো ২ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করে, যা প্রায় রেকর্ড সর্বোচ্চের কাছাকাছি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ।

এশিয়ায় শীতকালীন এলএনজি আমদানি বৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে চীন। ২০২৩ সালে দেশটি জাপানের কাছ থেকে আবারো শীর্ষ ক্রেতার অবস্থান দখল করে নিয়েছে। ভারত এশিয়ার চতুর্থ শীর্ষ এলএনজি ক্রেতা। ডিসেম্বরে দেশটি বিশ্ববাজার থেকে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি ক্রয় করে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে গত মাস জানুয়ারিতে আমদানির পরিমাণ ছিল ২২ লাখ ৬০ হাজার টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৮ শতাংশ বেশি। 

বিশ্লেষকরা জানান, এশিয়ার বাজারে এলএনজির চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক। সে তুলনায় ইউরোপের বাজারে চাহিদা কম। এশিয়ায় বলিষ্ঠ চাহিদা সত্ত্বেও স্পট মার্কেটে জ্বালানিটির দাম কমছে। এর মূল কারণ ঊর্ধ্বমুখী সরবরাহ। সূত্র: রয়টার্স।  

SN/SA
আরও পড়ুন