ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মুদ্রাস্ফীতির হার কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশাল চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতির হার কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ।

শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন ভবনে প্রস্তাবিত  সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, কালো টাকা(অপ্রদর্শিত) সাদা করার সুযোগে অর্থনীতির আকার বাড়বে। দেশে জিডিপির আকার এবং অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিগত কয়েক বছরে যেখানে প্রায় ১০-১২ শতাংশ হারে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে, এবার বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশেরও কম (৪.৪২%)।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ছয় দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্য বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির এই হারকে কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করি। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়বে।

রাজস্ব বিভাগের সংস্কার দাবি করে ন্যায়পাল নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার জরুরি। সেই সঙ্গে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়ানো এবং উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস বিস্তৃত করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিক মাত্রায় সরকারের ঋণ গ্রহণ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ী এই নেতা বলেন, আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় গৃহীত কাজের গুণগতমান বজায় রাখা ও দক্ষতার সঙ্গে সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রেও দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে, যাতে করে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হয়। এছাড়া ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ভোজ্যতেল, চিনি, বাদাম এসব পণ্যের ওপর আরোপিত উৎস কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। আইটি সেক্টরের কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে এই সেক্টরের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও প্রসারে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট সেক্টরকে উৎসাহিত করবে।

RY/AST
আরও পড়ুন