ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫৬ এএম

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় প্রাধান্য পাবে। সেই লক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনও।

মঙ্গলবার রাতে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যে অর্থ পাচার হয়ে এসেছে, সেটিকে কিভাবে ফেরত আনা যায়- সেটি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা কাজ করবেন।

কিন্তু পাচার হওয়া অর্থ যুক্তরাজ্য থেকে কিভাবে ফেরত আনা যাবে এবং আসলে সম্ভব হবে কিনা- এনিয়ে ঢাকায় চলছে নানা আলোচনা।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতি নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত কমিটি যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল তাতে দেখা যায়, বিগত শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছিল বিদেশে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিগত শাসনামলে বিদেশে পাচারকৃত অর্থের একটা বড় অংশই পাচার হয়েছে যুক্তরাজ্যে। যে কারণে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তারা।

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যুক্তরাজ্য থেকে এই পাচারকৃত অর্থ খুব স্বল্পমেয়াদে ফেরত আনা সম্ভব নয়।

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছিলেন সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রকাশ কমিটির প্রধান।তিনি বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার সহজ কোনো রাস্তা নাই। কেননা, যে অর্থ পাচার হয়ে যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ হয়েছে, সেটির সঙ্গে পাচারকৃত অর্থের যোগসূত্র প্রমাণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ঘিরে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), স্পটলাইট অন করাপশন ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

RF
আরও পড়ুন