ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এমডি অপসারণ

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:১১ পিএম

গুরুতর অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে ব্যাংকের শীর্ষপদ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে অপসারণ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে এমডির অপসারণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।

তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ, নিজের আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ দেওয়াসহ যাকাতের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণও পেয়েছে অডিট কমিটি।

ওয়াসেক আলী ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে দুই দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তিনি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে ছিলেন।

বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রমে অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। এ প্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে পরিচালিত একাধিক নিরীক্ষা কার্যক্রমে আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে। ২০২৫ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত ১০৭তম অডিট কমিটির সভায় এসব অনিয়মের বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই সভার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যাংকের বিপুল সংখ্যক আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের সঙ্গে সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য কিছু অনিয়মের মধ্যে রয়েছে, বেনামি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ প্রদান, বিনিয়োগ সীমা অতিক্রম করে ঋণ অনুমোদন, জামানত বা বন্ধকিকৃত সম্পত্তির অস্বাভাবিক মূল্যায়ন, অনাবৃত জামানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ, মুনাফা মওকুফের নামে মূলধন মওকুফ, এমটিডিআর বা স্থায়ী আমানতের বিপরীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে মুনাফা বিতরণের নামে অর্থ উত্তোলন, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে গুরুতর অনিয়ম এবং আঞ্চলিক বৈষম্য, চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষে পুনঃনিয়োগ ছাড়া এক নির্বাহীকে বেআইনিভাবে দায়িত্বে রাখা এবং তাকে বেতন ও বোনাস প্রদান, কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকেও বিল উত্তোলনের অনুমোদন এবং যাকাত ফান্ড বিতরণে অনিয়ম ইত্যাদি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক অডিট হয়েছিল। সেখানে ছুটিতে থাকা এমডির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এজন্য বোর্ডের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তার নিয়োগ বাতিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই চিঠির আবেদন অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

FJ
আরও পড়ুন