দেশের স্বর্ণবাজারে চলছে নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি। সর্বশেষ বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ঘোষিত নতুন দামে, ২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনার দাম ভরি প্রতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৮ টাকা যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এমন মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সোনা।
রাজধানীর বিভিন্ন জুয়েলারি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানেই ক্রেতাশূন্য অবস্থা। অনেক দোকানি অলস সময় পার করছেন। কেউ কেউ হতাশ কণ্ঠে জানিয়েছেন, এমনও দিন যায় যেখানে এক টাকার বিক্রিও হয় না। এক সময় দিনে পাঁচটা গহনা বিক্রি করতাম, এখন পাঁচ দিনেও একটা বিক্রি হয় না, বলছিলেন পুরান ঢাকার একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী।
স্বর্ণের বর্তমান দর (ভরি প্রতি)
- ২২ ক্যারেট: ১,৮৫,৯৪৮ টাকা
- ২১ ক্যারেট: ১,৭৭,৫০৩ টাকা
- ১৮ ক্যারেট: ১,৫২,১৪৫ টাকা
- সনাতন পদ্ধতি: ১,২৬,১৪৬ টাকা
বিশ্ববাজারের প্রভাব
বিশ্বজুড়েই সোনার দাম বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা, যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝুঁকছেন। এরই প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে ৩০%।
চড়া দামের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন বিয়ে সামনে থাকা পরিবারগুলো। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে একেবারে ন্যূনতম গহনায় আয়োজন সারছেন, আবার অনেকেই বিকল্প হিসেবে ইমিটেশন বা সিটি-গোল্ড গহনার দিকে ঝুঁকছেন।
নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা, নীলক্ষেতসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইমিটেশন গহনার দোকানগুলোতে দেখা গেছে জমজমাট বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা জানান, স্বর্ণের উচ্চমূল্যই তাঁদের বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছে।
একদিকে সোনার দাম বাড়ছে, অন্যদিকে বিক্রি কমে যাচ্ছে এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। বাজুসের এক সদস্য জানান, যদি দাম কমে না, তাহলে এই খাত বড় ধরনের স্থবিরতায় পড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারের ওপর দেশের স্বর্ণবাজার নির্ভরশীল। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তবে দেশের বাজারেও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত সেই সম্ভাবনা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
প্রতারকচক্রের ১১ ফেসবুক পেজ শনাক্ত করেছে বিএসইসি
দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড