ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সোনা কেনার আগে যে ৫ বিষয় যাচাই করতেই হবে

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

দেশে ক্রমাগত বাড়ছে স্বর্ণের দাম। অলংকার হিসেবে নয়, আর্থিক নিরাপত্তা এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবেও স্বর্ণ আজ অনেকের কাছে নির্ভরতার প্রতীক। তবে সোনা কেনার সময় যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল না করা হয়, তাহলে ঠকতে হতে পারে। ক্যারেট, বিশুদ্ধতা, ওজন ও দাম- এসব বিষয়ে সচেতন হলেই নিরাপদ ও লাভজনক সোনার বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব।

১. ক্যারেট বুঝে কিনুন
সোনার মান নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্যারেট। বাজারে সাধারণত ১৪, ১৮ ও ২২ ক্যারেট সোনার গহনা পাওয়া যায়।
> ২৪ ক্যারেট: এটি সবচেয়ে বিশুদ্ধ সোনা হলেও নরম হওয়ার কারণে গহনা তৈরি সম্ভব নয়।
> ২২ ক্যারেট: গহনার জন্য সর্বোত্তম। রঙ উজ্জ্বল সোনালি হয় এবং টেকসই।
> ১৮ ও ১৪ ক্যারেট: তুলনামূলক কম বিশুদ্ধ। ১৮ ক্যারেট কিছুটা কম উজ্জ্বল এবং ১৪ ক্যারেট গোলাপি বা লালচে রঙের হয়ে থাকে।
সুতরাং, গহনার জন্য ২২ ক্যারেট এবং বিনিয়োগের জন্য উচ্চ ক্যারেটের (২৪) সোনা বেছে নেওয়া ভালো।

২. সঠিক ওজনের হিসাব
সোনার দাম নির্ধারিত হয় ওজন অনুযায়ী। তাই কেনার আগে সঠিকভাবে ওজন পরীক্ষা করে নিতে হবে। গোল্ড বার বা কয়েনের ক্ষেত্রে ০.৫ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫ কেজি পর্যন্ত নানা মাপ পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ মানুষ ৮, ১০, ২০ গ্রাম কিংবা ১ কেজির গোল্ড বার পছন্দ করেন। তাই আপনার বাজেট, ভবিষ্যৎ প্রয়োজন ও বিক্রির সুযোগ বিবেচনায় রেখে ওজন ঠিক করুন।

৩. বিশুদ্ধতা ও হলমার্ক দেখুন
বিশুদ্ধতার প্রমাণস্বরূপ হলমার্ক থাকা আবশ্যক। সোনার বার বা গহনা কেনার সময় অবশ্যই হলমার্ক এবং বিশুদ্ধতা সার্টিফিকেট যাচাই করুন। এতে ভবিষ্যতে বিক্রির সময় আপনি ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং প্রতারণার আশঙ্কা কমবে।

৪. কোথা থেকে কিনছেন, যাচাই করুন
বিশ্বস্ত জুয়েলারি দোকান বা ব্র্যান্ড থেকেই সোনা কিনুন। একই ধরনের সোনার দাম দোকানভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তাই কেনার আগে কয়েকটি জায়গায় দর যাচাই করে নিতে হবে। এতে করে অপ্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।

৫. বিনিয়োগ হিসেবে কতটা লাভজনক?
সোনার বার বা কয়েন এমন এক সম্পদ, যা সময়ের সঙ্গে মূল্য হারায় না, বরং বাড়ে। জরুরি প্রয়োজনে সহজে বিক্রি করা যায় এবং নগদ অর্থে রূপান্তর করা সম্ভব।

তাই সোনার কেনা হতে পারে—
> আপনার পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য,
> দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক বিনিয়োগের জন্য,
> এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় একটি নির্ভরযোগ্য সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে।

 সংক্ষেপে সোনা কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন:
> ক্যারেট দেখে সোনার মান বুঝুন
> সঠিক ওজন যাচাই করুন
> হলমার্ক ও সার্টিফিকেট নিশ্চিত করুন
> বিশ্বস্ত দোকান বা ব্র্যান্ড থেকে কিনুন
> দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে সম্ভাব্যতা বিবেচনা করুন

সোনা শুধু গয়না নয়, সময়মতো বিক্রি করলে হতে পারে সেরা ত্রাণদাতা। তাই কেনার আগে জেনে-বুঝে কিনলে ঠকার আশঙ্কা থাকে না।

MMS
আরও পড়ুন