ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে পুলিশের হামলা

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৮ এএম

গাজায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাও করে  শত শত জর্ডানি বিক্ষোভ করেছে।  এসময় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) দেশটিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর আল আরাবিয়া।

রোববার রাজধানীর আম্মানে কালোতি মসজিদে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সেখানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ। এখান থেকেই ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাওয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দূতাবাস ঘেরায়ের জন্য বিক্ষোভকারীরা সামনের দিকে এগোতে থাকলে তাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্ষোভকীরা হামাসকে সমর্থন করে স্লোগান দিতে থাকে। 

‘আমরা সীমান্তে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা এবং তাদের জিম্মি করতে চাই। আমরা পাল্টা প্রতিশোধ নিতে চাই। হামাসের সদস্যরা তোমরা তেল আবিবে বোমা হামলা চালাও বলে স্লোগান দিতে থাকে।’

পুলিশের পক্ষ থেকে  এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। যদিও জর্ডানে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে প্রায়ই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কারণ গাজা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে ইসরায়লি দূতাবাসের স্থানটি  বিক্ষোভের জন্য একটি ফ্লাশপয়েন্ট হয়ে উঠেছে। জর্ডান কর্তৃপক্ষ যদিও ইসরায়েলি দূতাবাসের সামানে বিক্ষোভের অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু তারা সেখানে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর ঘটনাকে মেনে নিতে পারে না। 

জর্ডানের দাবি গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস আইন ভঙ্গ করে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্য এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। 

হামাসের এ হামলার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। 

জর্ডানের নাগরিকদের প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ফিলিস্তিনের বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে অনেকে পালিয়ে জর্ডানে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে তারা এখানেই আবাস গড়ে তোলেন। 

 

RY/AST
আরও পড়ুন