সিরিয়া পরিস্থিতি ‘নাজুক’, তবু শিগগিরই উত্তেজনা কমার আশা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৮ এএম

সিরিয়ায় গোষ্ঠীগত সংঘাত চলার মধ্যেই দেশটির সুইদা শহরে এবং রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় ‘অত্যন্ত নাজুক’ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

তবে যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যেই উত্তেজনা প্রশমনের পথে অগ্রগতি হতে দেখার আশা প্রকাশ করেছে।

দামেস্কে ইসরায়েলের হামলার পর দুই পক্ষ এখন সত্যিই উত্তেজনার মাত্রা কমানোর পথে রয়েছে- এমনটিই মনে করেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আগামী কয়েকঘন্টার মধ্যে আমরা সত্যিকার অর্থই অগ্রগতি দেখতে পাব বলে আশা করছি।

ওদিকে, বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক ব্রিফিংয়ে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ইউএনএইচসিআর এর আঞ্চলিক পরিচালক রেমা জেমুস বলেন, খুবই নাজুক পরিস্থিতি। সিরিয়া এবং সিরিয়ানদের আবার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারাটাই এখন আমাদের জন্য প্রয়োজন।

বিশেষ করে দেশটিতে সিরীয় শরণার্থীদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন রেমা।

সিরিয়ায় গতবছর ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে শত-সহস্র সিরীয় শরণার্থী দেশটিতে ফিরে গেছে।

আরও শরণার্থীকে নিরাপদে সিরিয়ায় ফেরার ব্যবস্থা করতে ইউএনএইচসিআর দেশটিতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সমর্থন পোক্ত করার চেষ্টা নিয়েছে।

সিরিয়ায় শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনকে ‘জীবনে একবার ঘটে এমন’ সুযোগ হিসেবেই দেখছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক রেমা বলেন, “সিরিয়ার জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল স্থিতিশীলতা। দেশ পুনর্গঠন ও জনগণের পুনর্বাসনের জন্য শান্ত পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সহিংসতা সেই লক্ষ্যে বাধা সৃষ্টি করছে।”

তিনি জানান, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক হামলা ও সহিংসতা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে বলে মনে করছে ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির মতে, রাজনৈতিক সমাধান ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ঝুঁকিতে পড়বে।

khk