ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সবসময় রাশিয়ার পাশে থাকবো: কিম জং উন

আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনে যুদ্ধরত উত্তর কোরীয় সেনাদের সাহসিকতার জন্য কিম জং উনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জবাবে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, রাশিয়াকে যেকোনো উপায়ে সহায়তার সুযোগ পেলে ভ্রাতৃত্ববোধের জায়গা থেকে সবসময় পাশে থাকবো।

বুধবার বেইজিংয়ে সাক্ষাৎ করেন এই দুই নেতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছরপূর্তী উপলক্ষে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করেছে চীন। সেখানে যোগ দিতেই হাজির হয়েছেন এই দুই নেতা।

এবারই প্রথমবার উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিলেন। সাধারণত তিনি উত্তর কোরিয়ার বাইরে যান না। তিনি কেবল ব্যক্তিগত বৈঠকেই অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করেন।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ, আর পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা কুর্স্ক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করেছে।

তিনি কিমকে বলেন, আপনার সেনারা সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আপনার সশস্ত্র বাহিনী এবং সৈনিক পরিবারের ত্যাগ আমরা কখনও ভুলবো না।

কিম জবাবে পুতিনের প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক সবক্ষেত্রে উন্নত হচ্ছে। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনে ‘যৌথ লড়াইয়ে’ অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে সহায়তা করার যে কোনো উপায় থাকলে আমরা অবশ্যই তা ভ্রাতৃত্বের দায়িত্ব হিসেবে করবো।

দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে। পাশাপাশি তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও দীর্ঘপাল্লার অস্ত্রও পাঠিয়েছে। এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া খাদ্য, অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এই সেনারা মূলত পশ্চিম কুর্স্ক অঞ্চলে যুদ্ধ করছে। ইউক্রেনীয়রা গত আগস্টে এক আকস্মিক হামলায় এই অঞ্চলে দখল হয়ে যাওয়া কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে উত্তর কোরীয় সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, কেবল তিন মাসেই কমপক্ষে ১ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ সদস্যরা মার্চে বলেন, মোট ১৫ হাজার সেনার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ হতাহত হয়েছে, যার মধ্যে ৬০০ জন নিহত।

যেহেতু উত্তর কোরীয় সেনাদের আগে কোনো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল না, তাই তারা রাশিয়ায় প্রথম কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর সহায়ক ভূমিকায় যুক্ত হয়।

বুধবার কিম তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে শি ও পুতিনের পাশে হাঁটেন এবং তাদের সঙ্গে বসেন। তিনজনকে একসঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলতে দেখা গেছে।

MMS
আরও পড়ুন