ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গাজা পৌঁছানোর আগেই সুমুদ ফ্লোটিলার ‘যাত্রা শেষ’: ইসরায়েল

আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজের মধ্যে ৪৩টি জাহাজই আটক করেছে ইসরায়েল নৌবাহিনী। গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটকের দাবি করে ত্রাণবাহী এই নৌবহরের যাত্রা গাজায় পৌঁছানোর আগেই শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এসব জাহাজ আটকাতে গিয়ে কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কোনো উস্কানিমূলক জাহাজ সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ অথবা নৌ অবরোধ ভাঙতে পারেনি। জাহাজের সব যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। তারা নিরাপদে ইসরায়েলে যাচ্ছেন। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে নির্বাসিত হবে।’

তবে একটি জাহাজ এখনো সমুদ্রে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি সমুদ্রে আছে। কিন্তু জাহাজটি গাজার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এই জাহাজটিও যদি গাজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে এটিকেও আটকানো হবে।

এদিকে ফ্লোটিলার আয়োজকরা বলেছিলেন,  ফিলিস্তিনের গাজার জলসীমায় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ প্রবেশ করেছে। ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামের নৌযানটি বর্তমানে গাজার জলসীমার ভেতরে অবস্থান করছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, লাইভ ট্রেকারের ত্রুটির কারণে জাহাজটিকে গাজার জলসীমায় দেখানো হয়েছিল। বাস্তবে জাহাজটি গাজার কাছে যায়নি।

গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। 

জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, বেলজিয়ামের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক। সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল

FJ
আরও পড়ুন