বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৭

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম

তুরস্ক থেকে ফেরার পথে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধান মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদসহ মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে লিবিয়ার চারজন সামরিক কর্মকর্তা এবং বিমানের তিনজন ক্রু সদস্য রয়েছেন। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ডেবেইবা দুর্ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আঙ্কারা সফর শেষে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উদ্দেশে ফেরার পথে প্রাইভেট জেটটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুর্ঘটনা জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। যারা নিহত হয়েছেন, তারা আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে রাষ্ট্রের সেবা করে গেছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত অন্য কর্মকর্তারা হলেন—গ্রাউন্ড ফোর্সেস চিফ অব স্টাফ আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাউই, আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব এবং সামরিক ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পাইলটরা বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। তবে এর আগেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, প্রাইভেট জেটটিতে লিবিয়ার সেনাপ্রধান, তার চারজন সহযোগী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে তারা জরুরি অবতরণের আবেদন করেছিলেন।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, আঙ্কারা থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হায়মানা অঞ্চলের কেসিককাভাক গ্রামসংলগ্ন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটিজনিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী হামলা বা কোনো ধরনের নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, তুর্কি সামরিক কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে আল-হাদ্দাদ ও তার সফরসঙ্গীরা আঙ্কারায় গিয়েছিলেন। লিবিয়া সরকার ভাড়া করা প্রাইভেট জেটেই তারা তুরস্ক সফরে আসেন।

AHA
আরও পড়ুন