মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমে গেল বছরের বিপর্যয়ের স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। এরমধ্যে ফের অতিবৃষ্টির জন্য বিপর্যয় নেমেছে সিকিমে। পাহাড়জুড়ে একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। এতে লাচুং ও লাচেনসহ উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা পড়েছেন বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে সিকিম প্রশাসন জানায়, প্রবল বৃষ্টির কারণে নতুন করে ধস নেমেছে কালিম্পং-সিকিম সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ইয়াঙ্গনের মাজুয়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। বৃষ্টির কারণে গ্যাংটকের শিব মন্দির এলাকার কাছে পানিহাউসেও ভূমিধস হয়েছে।
সেখানের প্রশাসন আরও জানিয়েছে, দেড় হাজারের বেশি পর্যটক বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। তাদের সেই সব জায়গায় এখন থাকতে বলা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা খুললে ও গাড়ি চলাচল শুরু হলে তারা নামতে পারবেন।
মঙ্গনের প্রশাসন জানিয়েছে, অম্ভিথাং ও পাকশেপ গ্রামে তিনজন করে মোট ছয়জন মারা গেছেন। প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকশেপে একটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ নিয়ে প্রশাসন সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছে। কারণ জায়গাগুলো বন্যা ও ধসের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে যেতে অসুবিধা হচ্ছে।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং জানিয়েছেন, সরকার ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ এবং মানুষের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
আগামী দুই দিন সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। গত বুধবার গ্যাংটকে ৬১ ও গেজিংয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাভাংলাতে হয়েছে ১১৯ মিলিমিটারের বেশি। মঙ্গন জেলাতে হয়েছে ২২০ মিলিমিটার।
