টানা দু’দিন ধরে অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে। প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে জলপাইগুড়ি, সিকিমসহ উত্তরের জেলাগুলো। অতিভারী বৃষ্টিপাত চলছে সিকিমেও। পাহাড় ও সমতলে অবিরাম বর্ষণে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, জলঢাকাসহ রাজ্যের একাধিক নদী। দ্রুত পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজে। তাই বাঁধ থেকে ছাড়া হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ পানি। এ অবস্থায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করেছে সেচ দপ্তর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিতে একদিকে যেমন পাহাড় থেকে নেমে আসছে বিশাল জলস্রোত, তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সমতলের বৃষ্টির পানি। দুয়ে মিলে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকাসহ পশ্চিমবঙ্গের বুক চিরে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা নদীগুলো।
রাজ্যের সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ির গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে রোববার (৩০ জুন) সকালে ২ হাজার ৬৯৮ দশমিক ৬৩ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। নদীতে দ্রুত পানি বাড়ায় তিস্তার পাড়ে অবস্থিত মেকলিগঞ্জ শহর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে চলবে ভারি বৃষ্টিপাত। শনিবার রাত থেকেই তার সাক্ষী হয়েছে জলপাইগুড়িসহ সিকিম এবং উত্তরের জেলাগুলো। অবিরাম বৃষ্টিতে একদিকে যেমন পাহাড় থেকে নেমে আসছে বিশাল জলস্রোত সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সমতলের বৃষ্টির পানি।
তিস্তা তীরবর্তী ও গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড এলার্ট জারির পাশাপাশি হলুদ সংকেত দেখানো হয়েছে অন্য নদীগুলিতে। আবহাওয়া অফিস বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৬ মিলিমিটার।
