ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত: নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আজ

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১১:১৮ এএম

আবারও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া মধ্যকার বিতর্কিত সীমান্তে প্রাণঘাতী সহিংসতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থাই সেনাবাহিনী কম্বোডিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক নাগরিক।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সীমান্তে আজ শুক্রবার সকালেও সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী। তারা বলছে, হামলায় কম্বোডিয়ার বাহিনী ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি রকেটও ব্যবহার করেছে।

থাই সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কম্বোডীয় বাহিনী ভারী অস্ত্র, ফিল্ড আর্টিলারি ও বিএম-২১ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে থাই সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়েছেন।’

এ সংঘাতে থাইল্যান্ড ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে একটি দিয়ে কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানে আঘাত হানা হয়। থাই সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, এ বিমান হামলার উদ্দেশ্য ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা।

দুই দেশের মধ্যে গত ১৩ বছরে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। এ সংঘাত নিয়ে আজ (২৫ জুলাই) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র টমি পিগট নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বেসামরিক মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরে শোকাহত। অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ, বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা ও সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন, ‘আমরা এর নিন্দা জানাই। সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যা লড়াইয়ের ক্ষেত্রের বাইরে ঘটেছে...আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে এভাবে বল প্রয়োগ করা হয়েছে।’

ফুমথাম আরও বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষেই রয়েছি এবং আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু যা হয়েছে, তা একরকম উসকানি। আর আমরা আত্মরক্ষার্থে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছি।’

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন সাংবাদিকদের জানান, সুরিন প্রদেশে একটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ হয়েছে। তিনি একে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বিবেচনার দাবি জানান।

কম্বোডিয়ার সরকার, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য দেয়নি এবং কতজন মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা–ও জানায়নি।

AHA
আরও পড়ুন