নির্বাচনে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না: সিইসি

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে আগেই রেকর্ড করা ভাষণের মাধ্যমে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সিইসি বলেন, আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ৩০০ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি জুলাইয়ে গ্রহণকৃত জাতীয় সংবিধান সংশোধন বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫-এর ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি। কমিশনে দায়েরকৃত আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৭:৩০ মিনিট পর্যন্ত।

সাধারণত বিটিভি ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এবার সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি নির্বাচনের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হলো।

এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হয়।

তফসিল রেকর্ডের আগে ভোটের তারিখ নির্ধারণের উদ্দেশে বুধবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। ইসি সচিব জানান, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সিইসি সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদলে বা বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য মাঠ পর্যায়ে বিচারকদের প্রয়োজন হবে। এজন্য প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ জন বিচারক চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা বিচার বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছি। প্রধান বিচারপতি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়ায় ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সময় সাশ্রয় করতে প্রতিটি কক্ষে দুটি গোপন বুথ রাখা হয়েছে।

NB/FJ