ভারতের দার্জিলিঙের কোনও হোটেলে আর বাংলাদেশি পর্যটকদের জায়গা হবে না। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সেখানের হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন’র।
৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের জেরে দুদেশের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আসাম, ত্রিপুরাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হোটেল ও গেস্ট হাউজে বাংলাদেশি পর্যটকদের নিষিদ্ধ করার ঘোষণা এসেছে। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে সোমবারই ঢাকা সফর করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রিম মিশ্রি।
এমনই প্রেক্ষাপটে দার্জিলিঙের হোটেল ব্যবসায়ীরা ওই নিষেধাজ্ঞা দিলেন। অবশ্য ৫ আগস্টের পর থেকেই ভারতে পর্যটন ও চিকিৎসা ভিসা দেয়া বন্ধ রয়েছে।
দার্জিলিঙের হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দার্জিলিং পুলিশ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন হোটেল নিয়ে অনেক আলোচনার পর ভোটাভুটি করে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট গিয়ে পড়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের বিরুদ্ধে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছরই এই সময় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক শৈলশহর দার্জিলিঙে বেড়াতে যান।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়নি
বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারত
বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ত্রিপুরার হোটেল
বাংলাদেশিদের থাকতে দেবে না আসামের কিছু হোটেল