কয়েকদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহের পর বেড়েছে তাপমাত্রা। হিমবাতাস আর কনকনে শীতের দাপট কমেছে কিছুটা। ফিরেছে জনপদে স্বস্তির কর্মচাঞ্চল্য। রোদ্রময় সকালে কাজে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের পর কাটলো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝলমলে রোদ দেখা মিলছে সকাল থেকেই। ভোর থেকে রোদ উঠে যাওয়ায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। বেড়া বাড়তে থাকলে কমে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সকাল হতেই কাজে বেরিয়ে পড়েছেন দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত পড়েছে এ অঞ্চলে। এলাকাটি হিমালয়ের নিকটস্থ হওয়ায় উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। রাতভর প্রবাহিত হচ্ছে বরফের মতো ঠান্ডা। গত ৬ দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
গ্রামগুলোতে খড়কুটো, কাগজের কাটন, টায়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে বেলা বাড়তে থাকলে কেটে যায় কনকনে শীতের প্রভাবও।
শীতে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের পর কাটলো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে জানান তিনি।
