উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে একটি ভাসমান হাসপাতাল বলা যেতে পারে। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা।
জানা গেছে, কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া। এ যাত্রায় তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন ১৫ জনের বেশি। এরমধ্যে রয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা, দলীয় নেতা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও স্টাফবৃন্দ।
লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারাখালেদা জিয়ার বিশেষ বিমানে থাকছে যেসব সুবিধা
আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম: এই বিমানগুলোতে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ।
আইসিইউ সুবিধা: বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থাকে।
লন্ডনে ভিআইপি প্রটোকল পাবেন খালেদা জিয়াডাক্তার এবং নার্স : এই বিশেষ বিমানে সবসময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার এবং নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম।
স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ : রোগীর আরামের জন্য এই বিমানগুলো খুবই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকে।
খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে কাতারের আমিরের রাজকীয় বিমান ঢাকায়স্বয়ংসম্পূর্ণ : বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, দীর্ঘ দূরত্বের বিমান যাত্রায় (ফ্লাইটের) ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স একটি অত্যাধুনিক এবং বিশ্বাসযোগ্য বিমান যা জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। এর দ্রুত গতি, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম এটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।
খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রাকে ঘিরে বিমানবন্দরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাখালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চিকিৎসক, বিএনপি নেতারা, ব্যক্তিগত কর্মী ও দুজন গৃহকর্মী থাকবেন। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় কাতারের আমিরের দেয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন।
চিকিৎসা শেষ হলে বিএনপির চেয়ারপারসন আবার লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করে তারপর দেশে ফিরতে পারেন।
লন্ডনে সরাসরি হাসতাপাতালে নেয়া হবে খালেদা জিয়াকেমা-ছেলের দীর্ঘ কাঙ্ক্ষিত এই সাক্ষাতে দেশ, দল ছাড়াও ভবিষ্যতের রাজনীতি নিয়ে অনেক কথাবার্তা হতে পারে। সবার প্রত্যাশা, চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফিরবেন।
তথ্য সূত্র: বাসস
