ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জড়ো হচ্ছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, ষষ্ঠ দিনে গড়াল অনশন

আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৪ পিএম

রাজধানীর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আমরণ অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি পালন করতে ক্যাম্পাসের জড়ো হচ্ছেন অন্যান্য ছাত্ররা। তবে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির সমর্থনে কিছু করতে দেখা যায়নি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তিতুমীর কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ৬ জন শিক্ষার্থী অনশন করছেন। তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। আর ক্যাম্পাসের ভেতরে চলছে সরস্বতী পূজা। সেখানে অবাধে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারছেন। এর বাইরে অবরোধের সমর্থনে মিছিল বা অন্য কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। আমরা গতকাল আজকে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ব ইজতেমার জন্য বেলা ১১টা থেকে অবরোধ শিথিল করেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফের অবরোধ ঘোষণা করছি। এর আওতায় থাকবে মহাখালী, রেলগেট, আমতলী ও গুলশান লিংক রোড। এর আগে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আমাদের কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল থেকে আর শিথিল করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর আমাদের একটি ধারণা হয়েছিল যে, শিক্ষার্থীবান্ধব একটি রাষ্ট্র হবে। যারা শিক্ষার্থীদের কথাগুলো চিন্তা করবে। আমাদের এসব কর্মসূচির জন্য অনেকেই আমাদের ওপর রাগ করে আছেন। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমরা আপনাদের সন্তান। রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে।

এসময় তিনি ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে —

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে যোগ্যতা বিবেচনায় নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

SN
আরও পড়ুন