রাজধানীর কিছু রুটে কাউন্টার ও টিকিট সিস্টেম বাস চালু করায় সড়কে কিছু কোম্পানির বাস চলাচল করছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের সাধারণ যাত্রীরা। বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা, রামপুরা হয়ে যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্তান রুটে এখন বিআরটিসি বাসই একমাত্র ভরসা। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। তাই বিআরটিসি বাস বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এসব রুটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছেন না অনেকে। বাসে উঠতে না পেরে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই পায়ে হেঁটে রওনা হচ্ছেন। তবে সামর্থ্যবানরা রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে গন্তব্যে ছুটছেন।
রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মোড়ে মানুষের জটলা। বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচল করে রাইদা তুরাগ অনাবিল বাস। মাঝেমধ্যে দু-একটা তুরাগ বাস চলতে দেখা গেলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা মিলেনি রাইদা ও অনাবিল পরিবহনের।
এছাড়া বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা রামপুরা হয়ে গুলিস্তান রুটে নিয়মিত চলাচল করে ভিক্টর ও আকাশ পরিবহন। এসব বাসেরও দেখা মিলছে না। এই রুটে দু-একটা বিআরটিসি বাস আসলে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। পুরুষরা কোনোরকমে উঠতে পারলেও নারী যাত্রীরা তা পারছেন না।
এই রুটে চলাচলকারী একাধীক যাত্রীর সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, সরকার যে নিয়ম চালু করেছে এটা হয়ত পরিবহন মালিকদের পছন্দ হচ্ছে না। তাই তারা গাড়ি বন্ধ রেখেছে। সব গণপরিবহন সরকারের অধীনে নিয়ে বিআরটিসি বাস চালু করলে তাদের উচিত শিক্ষা হবে। এসময় বন্ধ রাখা বাসের রুট পারমিট বাতিলের দাবি জানান তারা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকার পরিবহন সেক্টরকে শৃঙ্খলায় আনতে একটা ভাল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা এটা মানতে পারছে না, হঠাৎ করেই বাস বন্ধ করে যাত্রীদের জিম্মি করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তিনটি রুটের বাসে ই-টিকিটিং ও কাউন্টার পদ্ধতি চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে গোলাপি রঙের বাস কাউন্টার থেকে শুধু টিকিটধারী যাত্রীকে তুলবে। সড়ক পরিবহন আইনেও যত্রতত্র যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ। এ নিয়ম ভঙ্গের সাজা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাসে কারাদণ্ড রয়েছে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের শহীদ মিনারে অবস্থান