বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর বর্তমানে প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। এর সঙ্গে কক্সবাজার উপকূলে বয়ে যাচ্ছে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে।
এদিকে সাগরের প্রচণ্ড উত্তাল অবস্থায় টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে মাঝিবিহীন একটি ফিশিং ট্রলার। বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার হাজমপাড়া সৈকতে ট্রলারটি ভেসে আসে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকার কারণে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বা দুর্ঘটনাবশত এখানে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে এবং সাগর খুবই উত্তাল। এর মধ্যেই বুধবার বিকেলের দিকে অজ্ঞাত একটি বড় ফিশিং ট্রলার সাগরের জোয়ারে ভেসে হাজমপাড়া সৈকতে আসে। তবে ট্রলারটিতে কোনো মাঝি বা লোকজন ছিল না।
পরে স্থানীয় কিছু লোক ট্রলারে থাকা মালামাল ও কাঠ ভেঙে লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শোভন কুমার শাহা বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ থাকায় সাগর উত্তাল। সেই পরিস্থিতিতে মাঝিবিহীন একটি ফিশিং ট্রলার উপকূলে ভেসে এসেছে। বর্তমানে বিষয়টি কোস্ট গার্ড পর্যবেক্ষণ করছে।’
অপরদিকে, গত মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারে টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে সাগরও প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় চার-পাঁচ ফুট বেড়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) কক্সবাজারে মোট ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে। তিনি সকল মাছ ধরার ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
