ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আবারও ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৪ এএম

রাজধানীর খুচরাবাজারে আবারও নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত দুই দিনে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সময়ে বেড়েছে সয়াবিন তেল, পামঅয়েল, মসুর, মুগ ও অ্যাংকর ডাল এবং দেশি পেঁয়াজের দামও।

শুক্রবার (১ আগস্ট) কাওরান বাজার, নিউ মার্কেট ও তুরাগের নতুনবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম আগের তুলনায় চড়া। 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। বোরো মৌসুমের শুরুতেই অসাধু মজুতদার ও করপোরেট চাল ব্যবসায়ীরা সরকারের মজুত নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ধান কিনে গুদামজাত করেছেন। এতে সাধারণ মিলারদের হাতে ধান পৌঁছায়নি, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। উপরন্তু সাম্প্রতিক বৈরী আবহাওয়ায় চাতালে পর্যাপ্ত ধান শুকানো যাচ্ছে না, ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে।

চালের পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দামও চড়েছে। বোতলজাত দুই লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ৩৭৫ থেকে ৩৭৮ টাকায় পৌঁছেছে। প্রতি লিটার খোলা পামঅয়েল এখন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, আর সুপার পামঅয়েল ১৫২ থেকে ১৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডালের বাজারও অস্থির। মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা এবং ছোট দানার ডাল ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় পাঁচ টাকা বেশি। মুগ ডালের দাম এক দিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মানভেদে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। অ্যাংকর ডালও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়তি। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা এক দিন আগেও ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। 

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী আকবর জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তবে অক্টোবর-নভেম্বরের আগে বড় কোনো সংকট হওয়ার আশঙ্কা নেই। সাময়িকভাবে বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

প্রোটিনের উৎস মুরগি ও মাছের বাজারেও ওঠানামা চলছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় নেমেছে। কই মাছ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই ও কাতল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশের বাজার এখনো নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ গতকাল ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, চাঁদপুর, বরিশালসহ বড় মোকামগুলোতে প্রচুর ইলিশ আসছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমবে বলেও তারা আশা করছেন।

RF/AHA
আরও পড়ুন