গাজীপুরে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা ও অপর এক সাংবাদিককে পাথর দিয়ে পা থেঁতলে আহতের ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় ওই দুটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাংবাদিক আহতের ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হলেও খুনের ঘটনায় কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
দুই সাংবাদিক হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছেন সহকর্মী ও স্বজনরা।
নারী ঘটিত অপকর্মের ভিডিও ধারনের জেরে খুন হন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এক নারী ও তার চক্রের সদস্যরা একজন লোককে টার্গেট করেন। এ সময় ওই লোক নারীর ফাঁদে না পড়ে ওই নারীকে একটি থাপ্পড় দেন। এ সময় তার পাশে থাকা চক্রের উৎপেতে থাকা অন্য দুস্কৃতিকারীরা তাকে ধাওয়া দেয়। পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ সময় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন সেই ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে ওই চক্রের সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে, সরকারি রেলওয়ের জায়গায় অনুমোদনবিহীন অবৈধ বস্তি, দোকানপাট, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তুলে চাঁদা আদায়ের নৈরাজ্য সৃষ্টি ও অনিয়মের অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করার সময় দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা সুলতানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মনির ও ফরিদ নামে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুয়া জন্ম তারিখ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ
ট্রাভেল ব্যাগে মিললো এক ব্যক্তির টুকরো মরদেহ
সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও জড়িতদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা