ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভারত

থানা থেকে ছাড়া পেলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কাসহ ৩০ এমপি

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন ও ‘ভোট চুরি’র প্রতিবাদে সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অফিসের পথে আটক হওয়া বিরোধী দলের সব সংসদ সদস্যকে ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। আটকের প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা ছাড়া পান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সাগরিকা ঘোষসহ ৩০ জনের বেশি এমপিকে আটক করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, নির্বাচন কমিশন কেবল ৩০ জন এমপিকে তাদের কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এ ছাড়া ইসির উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য কেউ আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেননি বলেও জানায় পুলিশ।

থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভারতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের হাতে আটক হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। সোমবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) এবং নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) দপ্তরের দিকে পদযাত্রা করছিলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সংসদের ‘মকর দ্বার’ থেকে নির্বাচন সদন পর্যন্ত এই পদযাত্রা শুরু হয়।

তবে পার্লামেন্ট ভবন থেকে এগোতেই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়। এসময় কয়েকজন সংসদ সদস্য, যেমন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলেই বসে পড়েন এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সূত্র: পিটিআই, দ্য হিন্দু

MMS
আরও পড়ুন