ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা যুদ্ধাপরাধের শামিল: জাতিসংঘ

আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি এবং পূর্ব জেরুজালেমের মধ্যবর্তী স্থানে হাজারো নতুন ঘর তোলার পরিকল্পনা করছে তেল আবিব। তাদের এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী বলে সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নিকটবর্তী ফিলিস্তিনিরা জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, যা হবে যুদ্ধাপরাধের শামিল।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক বক্তব্যে কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিচ বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বসতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কবরে পাঠিয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি পরিকল্পনা পশ্চিম তীরকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত করে ফেলবে। অধিকৃত এলাকায় দখলদার কোনো শক্তির (ইসরায়েল) নিজ জনগণকে স্থানান্তর করাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে প্রায় সাত লাখ ইসরায়েলি সেটেলার (কোনো এলাকায় জোরপূর্বক বসতি স্থাপনকারী বহিরাগত ব্যক্তি) বাস করেন। ১৯৮০ সালে পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েল যুক্ত করলেও অধিকাংশ দেশ এ পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দেয়নি, আর পশ্চিম তীরে আনুষ্ঠানিক সার্বভৌমত্বও ঘোষণা করা হয়নি।

অধিকাংশ বৈশ্বিক পরাশক্তির আশঙ্কা, বসতি সম্প্রসারণে সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, যা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে। দ্বি-রাষ্ট্র পরিকল্পনায় পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলা হয়, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি টিকে থাকবে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর উল্লিখিত এলাকার দখল ইসরায়েলের হাতে রয়েছে।

ইসরায়েল ঐতিহাসিক ও বাইবেলীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে দাবি করে, এসব বসতি কৌশলগত গভীরতা ও নিরাপত্তা প্রদান করে। পশ্চিম তীরকে অধিকৃত বলতেও তাদের আপত্তি রয়েছে। ইসরায়েলের মতে, ওই এলাকাটি বরং বিতর্কিত এলাকা হিসেবে গণ্য করা উচিত।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

MMS
আরও পড়ুন