পছন্দের নারীকে পেতে তার স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ভয়ংকর এক পরিকল্পনা এঁটেছিলেন এক প্রেমিক। ক্রাশের স্বামীকে বড় একটি মিউজিক সিস্টেম পার্সেল করে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তাতে রেখে দিয়েছিলেন আস্ত এক বোমা।
গাজা দখলে হামলা শুরু, নিহত আরও ৮১চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড়ে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন বড়সড় একটি পার্সেল ডেলিভারি আসে ভুক্তভোগী আফসার খানের কাছে। কিন্তু, অনলাইনে কোনো অর্ডার করেননি তিনি। আর এত বড় উপহার কেউ পাঠাবে, সেটাও ভাবতে পারছিলেন না আফসার। কিন্তু পোস্ট অফিসের লোগো দেখে সন্দেহ হতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে পার্সেলটি খুলে দেখে, ভেতরে রয়েছে একটি লোভনীয় মিউজিক সিস্টেম। কিন্তু সেই মিউজিক সিস্টেম খুলে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
দেখা যায়, মিউজিক সিস্টেমের ভেতরে রয়েছে একটি বড় বোমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় তাতে রয়েছে প্রায় ২ কেজি বিষ্ফোরক। শুধু তাই নয়, স্পিকারের সঙ্গে এমনভাবে বোমাটি জোড়া রয়েছে, যাতে বিদ্যুতের সংযোগে এলেই বিষ্ফোরণটি ঘটে।
গাজার কবরস্থানে আর জায়গা নেইবিস্ফোরক উদ্ধার করে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, এর পিছনে রয়েছে খয়রাগড় গ্রামের এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, যার নাম বিনয় বর্মা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এক অবৈধ বিস্ফোরক চক্রের আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ছত্তিসগড় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আফসার খানকে খুনের চেষ্টা বানচাল করার পাশাপাশি এলাকার অবৈধ বিস্ফোরক পাচার চক্রকে ধরাও সম্ভব হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গুগল সার্চ করেই নাকি মিউজিক সিস্টেমের ভিতরে বোমাটি সেট করেছিলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বিনয়।
গাজায় ত্রাণবাহী ৪০০ ট্রাক প্রবেশতদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, আফসারের সদ্যবিবাহিত স্ত্রীকে বহুদিন আগে থেকেই পছন্দ করতেন বিনয়। আর নিজের পথের কাঁটাকে দূর করতেই এত বড় পরিকল্পনা করেছিল তিনি।
ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা ও বিস্ফোরক পাচারের কারণে এরই মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ছত্তিশগড় পুলিশ। এর পিছনে আরও বড় কোনো চক্র রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত এখনও চলছে।
