ভিয়েতনামের পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে টাইফুন ‘কাজিকি’। সোমবার (২৫ আগস্ট) ভোরে ঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।
ঝড়ের তীব্রতা বিবেচনায় উপকূলীয় অঞ্চলে বিপদের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম সরকার থান হোয়া, কোয়াং ট্রাই, হিউ ও দানাংসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ৫ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা (এনসিএইচএমএফ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত টাইফুন কাজিকি ব্যাপক শক্তি অর্জন করে। এ সময় ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার, যা আরও বেড়ে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঝড়টি হাইনান দ্বীপ অতিক্রম করে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হাইনানে জরুরি সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে এবং প্রায় ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য কয়েক হাজার সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক- বিশেষ করে মাছ ধরার নৌকা, খামার এবং পর্যটকদের জন্য। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম এয়ারলাইন্স ও ভিয়েতজেটসহ বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমুদ্রসৈকত, রিসোর্ট ও গণপরিবহন ব্যবস্থা।
ভিয়েতনাম সরকার টাইফুন ‘কাজিকি’র শক্তিকে গত বছর সেপ্টেম্বরের টাইফুন ‘ইয়াগি’র সঙ্গে তুলনা করেছে, যা প্রাণহানি ঘটিয়েছিল প্রায় ৩০০ জনের এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। সূত্র: রয়টার্স
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় এরিন, আঘাত হানতে পরে যেসব স্থানে