ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আমদানি-রপ্তানিকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো আমদানি বা রপ্তানিকারকের বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (বিন) লক করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, বরং রাজস্ব ঝুঁকির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে জুলাই মাসের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অহেতুক বিন লক করে সৎ ও নিয়ম মেনে চলা আমদানি-রপ্তানিকারকদের যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না করা হয়। প্রতিটি কাস্টমস হাউস ও গোয়েন্দা দপ্তরকে জানাতে হবে কেন কোনো বিন লক করা হয়েছে এবং এতে কী পরিমাণ অতিরিক্ত কর আদায় হয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিটি রাজস্ব সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা সৎভাবে নিয়মিত ভ্যাট দেন, তাদের ওপর বাড়তি চাপ নয়। বরং যারা সম্পূর্ণরূপে ভ্যাট এড়িয়ে যান বা ফাঁকি দেন, তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় বন্ড ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে নিয়ে আসার নির্দেশনা দেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সেবাগুলোর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সেবা না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানি করা পণ্য বাজারে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।

বকেয়া কর আদায় জোরদারে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। টিআইএনধারী হয়েও যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য মাঠপর্যায়ে যাচাই করে কর আরোপ ও আদায়ের জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

DR/MMS
আরও পড়ুন