রাজধানীর যানজট নিরসনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে! শনিবার (৩০ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে ট্রাফিক সিগনাল অটোমেশন সিস্টেমের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সাতটি ইন্টারসেকশনে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সিস্টেমটি চালু হবে, যার পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা।
ঢাকায় চালু হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালঅতীতে ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিস্টেম স্থাপনে তিনবার আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অসম্পূর্ণ ট্রায়াল এবং নানা অনিয়মের কারণে কোনো প্রকল্পই সফলতার মুখ দেখেনি। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত পূর্ববর্তী প্রকল্পগুলোও শেষ পর্যন্ত বিকল হয়ে পড়েছিল। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকার নগরবাসীকে তীব্র যানজট থেকে মুক্তি দিতে এবং যানজটে হারানো কর্মঘণ্টা বাঁচাতে অটোমেটিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
হাইকোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সাতটি এবং পর্যায়ক্রমে মোট ২২টি ইন্টারসেকশনে এই সিস্টেম চালু করা হবে। এই প্রকল্পে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ডিটিসিএ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ একযোগে কাজ করছে।
ডিটিসিএ'র নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জানিয়েছেন, এই পরীক্ষামূলক পাইলটিংয়ের মূল লক্ষ্য হল সচেতনতা বৃদ্ধি। আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর আগে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নিয়ে সচেতনতা তৈরি, সক্ষমতা যাচাই এবং সম্ভাব্য ত্রুটিগুলো শনাক্ত করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনউদ্দিন নিশ্চিত করেছেন যে, শহরজুড়ে এই ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশন দরপত্র আহ্বান করেছে।
ডিএমপি ট্রাফিক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই নতুন ব্যবস্থায় সিগন্যাল অমান্য করলেই জরিমানা গুনতে হবে।এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ঢাকার যানজট সমস্যা সমাধানে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
