ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে গণহত্যাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সংগঠন আইএজিএস। জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এ অভিযোগ প্রমাণিত বলে প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, জাতিসংঘের গণহত্যা সনদের আইনি সংজ্ঞার সঙ্গে ইসরায়েলের কার্যক্রম মিলে যায় বলে সোমবার এক প্রস্তাবে জানিয়েছে সংগঠনটি। তিন পাতার ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলের ২২ মাসের যুদ্ধজুড়ে চালানো বিভিন্ন পদক্ষেপকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল সুপরিকল্পিতভাবে স্বাস্থ্য, ত্রাণ ও শিক্ষা খাতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ইউনিসেফের তথ্য উদ্ধৃত করে জানানো হয়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৫০ হাজার শিশু নিহত বা আহত হয়েছে, যা গাজার মানুষের টিকে থাকা ও পুনর্গঠনের সক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
প্রস্তাবে গাজায় সব ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার পক্ষে ইসরায়েলি নেতাদের সমর্থন এবং অঞ্চলজুড়ে বাড়িঘর ধ্বংসের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ইসরায়েলি নেতাদের প্রকাশ্য উক্তি — যেখানে গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘শত্রু’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, গাজাকে “চাপা দেওয়া” বা “নরকে পরিণত” করার হুমকি দেওয়া হয়েছে — তাও তুলে ধরা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, আইএজিএস বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণহত্যা বিশেষজ্ঞদের পেশাজীবী সংগঠন এবং এখানে হলোকাস্ট বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৫০০ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ সদস্য ভোটে অংশ নেন এবং ভোটদানকারীদের ৮৬ শতাংশই প্রস্তাব সমর্থন করেন।
এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে “হামাসের মিথ্যা” ও দুর্বল গবেষণা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে, এ প্রস্তাব “আইন পেশার জন্য লজ্জাজনক”। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেন, আসলে ইসরায়েলই গণহত্যার শিকার।
সুদানে ভূমিধসে ১ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি
শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে সাবেক ডেনিশ মন্ত্রীর কারাদণ্ড