দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় ছটফট করছেন গার্মেন্টস শ্রমিক মো. কামরুল হাসান। অর্থনৈতিক কারণে সুচিকিৎসা নিতে পারছেন না। বর্তমানে ধারদেনা করে চলছে কামরুলের চিকিৎসা।
অসুস্থ কামরুল হাসান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আমজাদ হাজি বাড়ির দিনমজুর আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে চলছে কামরুলের টানাপোড়েনের সংসার।
স্থানীয়রা জানান, কামরুল এক বছর ধরে অসুস্থ। চিকিৎসক বলছে, তার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। সকলের সার্বিক সহয়তায় এতোদিন কোনরকম চিকিৎসা চললেও বর্তমানে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে তার পরিবারকে।
এদেশের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে কামরুল সুচিকিৎসা পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে- এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

কামরুলের স্ত্রী মিশু আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার একটি কিডনি স্বামীকে দিতে চান। কিন্তু এ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা তার দ্বারা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি স্বামীকে বাঁচাতে সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা চান।
স্ত্রীর ভালোবাসা দেখে ডুকরে কেঁদে উঠেন স্বামী কামরুল হাসান। গণমাধ্যমকর্মীদের কামরুল জানান, স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে আনন্দে ভরপুর ছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। একবছর আগে কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে নিকটতম স্বজনদের সহযোগিতায় এতোদিন ওষুধ খরচ চলছিল। বর্তমানে কামরুলের চতুর্দিকে অন্ধকার। সুস্থ জীবনে ফিরতে সকলের সাহায্য সহযোগিতা চান তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসাইন জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগ, থ্যালাসেমিয়া ও স্ট্রোকে প্যারালাইসিস রোগের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
ওই ৬টি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে জেলা কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে বরাদ্দ সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ে ইএফটির মাধ্যমে রোগীর একাউন্টে টাকা প্রেরণ করা হবে।
