ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক, ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাতজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আলাদা তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে তাদের নোটিশ দেয়। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয় ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সমন্বয়ে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি, অ্যাকাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি এবং বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার তথ্য যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি নামে তিনটি আলাদা কমিটি হয়।
কমিটি তিনটির প্রধান হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, এম জাকির হোসেন খান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন মজুমদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে শুধু তাদেরই শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির চাহিদা অনুযায়ী শোকজ নোটিশ প্রত্যেকের বরাবরে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের জবাব পাওয়ার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি।
