প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তার এই সফর ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস যেমন তুঙ্গে, তেমনি নানা পরিকল্পনাও রয়েছে এই তারকার। ঢাকায় পৌঁছার পরই তিনি ফেসবুকে বাংলায় লেখেন, আসসালামুয়ালাইকুম, বাংলাদেশ কেমন আছ?
আরেকটি পোস্টে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকার সঙ্গে ভালোবাসার ইমোজি যুক্ত করেন। তার এসব পোস্ট মনে ধরেছে বাংলাদেশি নেটিজেনদের। সবাই উষ্ণ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান পাকিস্তানের অভিনেত্রীকে।
এদিকে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুরান ঢাকার বিখ্যাত নবাববাড়ি আহসান মঞ্জিলে ঘুরতে যান হানিয়া। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন নবাববাড়ির মেয়ে নামিরা নাঈম। তিনি চিত্রনায়ক নাঈম ও নায়িকা শাবনাজ দম্পতির বড় মেয়ে। নবাববাড়ির মেয়ে নামিরা এই পরিচয় জানার পর হানিয়া বেশ চমকিত হন। চুটিয়ে আড্ডা দেন দুজনে।
নাঈম-শাবনাজের মেয়ের সঙ্গে আড্ডা, নবাববাড়িতে মুগ্ধ হানিয়া রাফসান দ্য ছোটভাইয়ের আমন্ত্রণে ছোট বোনকে নিয়ে আহসান মঞ্জিলে নামিরা
নামিরা নাঈম বলেন, হানিয়া খুব ঝাল খেতে পারে। অবাক করার মতো। সে শুটিং সেটে এসেছিল খালি পেটে। এসেই নাগা মরিচের ঝালমুড়ি খেয়ে নিল। বেশ আনন্দ নিয়েই খেয়েছে। ফুচকাও খেয়েছে তিন-চারটি নাগা মরিচ দিয়ে। আমাদের তো ঝাল দেখলেই চোখের পানি আসে, কিন্তু হানিয়ার জন্য সব স্বাভাবিক।
নামিরা আরও বলেন, ঢাকার আহসান মঞ্জিলে রাফসান দ্য ছোটভাই হানিয়াকে নিয়ে একটি ভ্লগিংয়ের শুটিং করেন। তিনিই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যেতে বলেন। হানিয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়ে আনন্দ পেয়েছি। আমি নবাববাড়ির মেয়ে জেনে খুব আগ্রহ দেখিয়েছে। পাকিস্তানে আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে জেনে অবাক হয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি ডিজাইনার আমির আদনান এবং অভিনয়শিল্পী ও গায়ক আলী জাফরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা পারিবারিক, তাদের নিয়েও আলাপ হলো।
নামিরা দাবি করেন, হানিয়াকে সামনাসামনি দেখাটা চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি প্রাণখোলা, বন্ধুসুলভ একজন মানুষ।
৪৭ ইসরাইলি বন্দীর ছবি প্রকাশ করলো হামাস