চলতি বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আগামী ৭ অক্টোবর। এদিন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে, ফলে স্বাভাবিক পূর্ণিমার তুলনায় চাঁদকে অনেক বড় ও উজ্জ্বল দেখা যাবে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই বিরল প্রাকৃতিক দৃশ্যকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’। এটি প্রতিবছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দৃশ্যমান হয়।
হার্ভেস্ট মুন কি
হার্ভেস্ট মুন হলো শরৎকালের শুরুতে উদিত বিশেষ একটি পূর্ণিমার চাঁদ। এই সময় চাঁদ স্বাভাবিক পূর্ণিমার চেয়ে ভিন্নভাবে উদিত হয়। সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না কিন্তু হার্ভেস্ট মুন তুলনামূলকভাবে দ্রুত ওঠে এবং কয়েক রাত ধরে আকাশে থাকে।

সন্ধ্যার পরপরই আকাশে উঠতে শুরু করায় এটি আরো উজ্জ্বল মনে হয়। বিশেষ করে দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থায় চাঁদকে আরো বড় এবং সোনালি-কমলা রঙের দেখা যায়।
কতটা বড় ও উজ্জ্বল হবে
পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের সুপারমুন গড় পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল হবে। ওই রাতে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬১,৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে।ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।

কেন বলা হয় হার্ভেস্ট মুন
জ্যোতির্বিদরা বলেন, শরৎকালে কৃষিকাজের সময় চাঁদের আলোকেই অনেক জায়গায় রাতে ফসল কাটার কাজ চালানো হতো। সেই কারণে শরতের এই পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’। এটি বছরে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও দৃষ্টিনন্দন পূর্ণিমাগুলোর একটি।
কিভাবে দেখবেন
সুপারমুন উপভোগ করার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই সহজে দেখা যাবে। তবে আলোদূষণ কম এমন জায়গায় গেলে চাঁদের সৌন্দর্য আরো স্পষ্টভাবে চোখে পড়বে। শহরের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে এই সুপারমুনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে।

কোন কোন দেশ থেকে দেখা যাবে
সুপারকোর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকেই সুপারমুন দেখা যাবে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই এটি খালি চোখে উপভোগ করা যাবে।
বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে বিরল ‘ব্লাড মুন’