গাজা থেকে সব বন্দি মুক্ত, ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিলেন ট্রাম্প

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে একে ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ভোর’ বলে বর্ণনা করেছেন, যখন হামাস সব বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইসরায়েলও যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করেছে। ট্রাম্প এখন গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

আজ সকালে দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় থাকা অবশিষ্ট ২০ জন জীবিত বন্দিকে ইসরায়েলে ফেরত আনা হয়েছে। এখনো ২৮ জন বন্দির মৃতদেহ গাজায় রয়ে গেছে, যাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছু পর) প্রথম দফায় ৭ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে তারা। এর কয়েকঘণ্টা পরই স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে বাকি ১৩ জনকেও রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস।

চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ২৫০ জন ফিলিস্তিনি দীর্ঘমেয়াদি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে এবং গাজা থেকে গ্রেপ্তার করা ১,৭০০-রও বেশি আটক ব্যক্তিকে মুক্ত করেছে, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণের পর থেকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা হয়েছিল।

আবেগঘন দৃশ্য দেখা যায় যখন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা ইসরায়েলের বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়, এবং ফিলিস্তিনি বন্দীরাও পশ্চিম তীরে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে ও বাসে করে গাজায় ফিরে যায়।

এই মুক্তি প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে গঠিত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার অংশ। গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর চতুর্থ দিনে এসে শুরু হয় জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার আওতায় গঠিত যুদ্ধবিরতির মূল তিনটি শর্ত— গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করা, ইসরায়েলি সেনাদের নির্দিষ্ট সীমানা পর্যন্ত সরিয়ে আনা, এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময়।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ অক্টোরব) দুপুরের মধ্যে ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে হামাসের, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জন মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও হামাস বলেছে, তারা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব ‘মৃত জিম্মিদের’ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, তবে এটি সম্ভব নাও হতে পারে এবং ইসরায়েলও এটি সম্পর্কে অবগত।

অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এই বন্দিদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। এছাড়া মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে বলেও জানা গেছে।

MMS