লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেছেন, ‘জুবায়েদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সঠিক তথ্য আমাদের কাছে আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রকৃত ঘাতকদেরই আমরা গ্রেপ্তার করবো।’
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে জোবায়েদের জানাজা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি আশা করছি আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে আপনাদের সুসংবাদ দিতে পারব।
আমার ৫৮ বছরের জীবনের সব অর্জন শেষ: জোবায়েদের বাবাডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি দাবি করেন, জুবায়েদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য আমাদের কাছে আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সব কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। আশা করছি আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে আপনাদের সুসংবাদ দিতে পারব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আসামি ধরতে সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত ঘাতকদেরই আমরা গ্রেপ্তার করব। এরপরই জানা যাবে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জোবায়েদের বড় ভাই সৈকত ৪৯তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু জোবায়েদ সেই খুশির খবর জেনে যেতে পারল না। আমরা চাই, প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। কোনো ধরণের ফাঁকফোকর মেনে নেওয়া হবে না।’
জবিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত, দুই দিনের শোকশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আগামী দুই দিন শোকসভা ও শোক র্যালি পালন করব। আমরা ১০ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। যদি অগ্রগতি না দেখি, পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। শিক্ষার্থীর বাবা-চাচাকে পাঁচ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছে এর জবাব পুলিশকে দিতে হবে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই, প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে আছি। প্রকৃত দোষী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার জোবায়েদের পরিবারের পাশে থাকবে। পুলিশ প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
জুবায়েদ হত্যার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশএর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডের একটি ভবনে টিউশনি করতে গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতের শিকার হন জোবায়েদ। আহত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে তিনি তিনতলায় লুটিয়ে পড়েন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ছায়া ও ক্ষোভ দেখা গেছে।
